all
What is the caries and why- ক্ষয় রোগ কি ও কেন হয়? ক্ষয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
আজকে ধাতু ক্ষয় রোগের ৪ টি পরীক্ষিত সমাধান নিয়ে আলোচনা করব:
আমার অনেক বন্ধু মেসেঞ্জারে মেসেজ জিজ্ঞাসা করেছেন যে ক্ষয় রোগের জন্য কি করব এবং কোন ঔষধ খাব? আজকের এই পোষ্ট টি শুধু তাদের জন্য। তাই মনোযোগ সহকারে পোষ্ট টি পড়ুন এবং এই কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পান।
ধাতু ক্ষয় রোগ কি?
অনিচ্ছাকৃত ভাবে প্রস্রাবের আগে ও পরে পাতলা বীর্য বের হওয়াকে ধাতু ক্ষয় বলে। প্রস্রাবে একটু চাপ দিলেই এমন টা হয়ে থাকে। এটি একটি সাধারন রোগ কারন আমাদের টেষ্টিকলে প্রতিনিয়ত বীর্য উৎপন্ন হয়ে থাকে। তবে এই রোগে গুরুত্ব না দিলে পরবর্তীতে ভয়ানক রুপ ধারন করতে সক্ষম। বিশেষ করে ধাতু ক্ষয় তরুনদের মাঝে বেশি দেখা যায়। অনেক সময় গনোরিয়া, সিফিলিসে আক্রান্ত হলে ধাতু ক্ষয় হয়ে থাকে।
ধাতু ক্ষয় কেন হয়?
ধাতু ক্ষয় বিভিন্ন কারনে হতে পারে যেমন অতিরিক্ত হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ, নারীদের নিয়ে বেশি চিন্তা করা, ধ্বজভঙ্গ, অতিরিক্ত যৌনমিলন, কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ্বরোগ, সিফিলিস, গনরিয়া সহ নানা রকম কারনে ধাতু ক্ষয় রোগ হয়ে থাকে।
ধাতু ক্ষয়ের লক্ষণঃ
প্রথমত ধাতু ক্ষয় হলে শরীর দূর্বল হয়ে যায়। এছাড়া খাবারে অরুচি, অতিরিক্ত শরীর ম্যাজম্যাজ করে। অনেক সময় বসে থেকে উঠে দাড়ালে চোখে অন্ধকার বা ঝঁপসা দেখা সমস্যাও হয়ে থাকে। যৌনমিলনের প্রতি অনিহা সৃষ্টি হওয়া এবং এক পর্যায়ে যৌনমিলন থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা বিষয়টি দেখা যায়। কারো সাথে কথা বলার আগ্রহ কম, অন্ধকার পরিবেশ ভালো লাগা সহ নারীর প্রতি হিংসা সৃষ্টি হতে পারে। উল্লেখ্য থাকে যে, ধাতু ক্ষয় হলে শরীর শুকিয়ে যায় এবং শরীরের ওজন কমে যায়।
ধাতু ক্ষয় রোধে যা করতে হবে:
১) হস্তমৈথুন করা বন্ধ করতে হবে।
২) পর্নগ্রাফী বা ১৮+ মুভি এড়িয়ে চলতে হবে।
৩) বন্ধুত্ব সম্পর্ক সৃষ্টি করতে হবে এবং মিশতে হবে।
৪) বিছানায় যাওয়ার আগে গরম কোন তরল খাবার পরিহার করা।
৫) ঢিলাঢালা সুতির পোষাক পরিধান করতে হবে।
৬) দুঃশ্চিন্তা করা থেকে বিরত থাকুন এবং মেডিটেশন ব্যায়াম করুন।
৭) মদ্যপান বা অ্যালকোহল জাতীয় তরল পরিহার করুন।
৮) নারী দেহ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা বন্ধ করুন।
৯) লিঙ্গ নিয়ে চিন্তা ও রাতে কোনকিছু মালিশ করা থেকে দূরে থাকুন।
১০) জটিল কোন রোগ হলে তা না লুকিয়ে চিকিৎসা করান।
এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে ৪টি চিকিৎসা জেনে নিন।
১) ছোট একটি পেয়াঁজ কুঁচি লবন দ্বারা চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস পরিমান দুধ পান করবেন। দুই থেকে তিন সপ্তাহ সেবন করলে বীর্য গাঢ় ও বলবান হবে সেই সাথে ধাতু ক্ষয় দূর হবে।
২) প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস পানির সাথে ১ চা চামচ ইসুবগুল ভূষি ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে ১ চা চামচ মধু দিয়ে মিশিয়ে খালি পেটে সেবন করতে হবে। ১৫ দিন সেবন করলে আপনার ধাতু ক্ষয় রোধ হবে।
৩) আমলকি ধাতু ক্ষয় রোধে বেশ কার্যকরী। তাই প্রতিদিন রাতে ঘুমানের পূর্বে এক গ্লাস ঠান্ডা পানিতে ১ চা চামচ আমলকির গুড়ো ও ২ চা চামচ আখের গুড় মিশিয়ে সেবন করলে ধাতু ক্ষয় দূর হবে।
৪) কচি শিমুল গাছের মূল ধাতু ক্ষয় দূর করতে চুম্বুকের ন্যায় কাজ করে। একটি কচি শিমুল মূল ভালো ভাবে পরিষ্কার করে কুচি কুচি করে কেটে পানির সাথে মিশিয়ে সাত দিন সেবন করলে দ্রুত বীর্যপাত ও বীর্য ক্ষয় দূর হবে।
ক্ষয় রোগের জন্য ৪ সমাধান আশা করি ভাল ভাবে বুঝতে পারছেন এবং শিখতে পেরেছেন। এর পরও যদি কারও পুরো পুরি বুজে না আসে তাহলে আমার আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের প্লে লিষ্টে গিয়ে এই ৪ টা চিকিৎসার আলাদা ভাবে ভিডিও দেওয়া আছে, সেই ভিডিও গুলো দেখে আসতে পারেন।
0 Reviews
Thank you so much for your feedback